সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম | Sonali Bank Loan Details

    এই আর্টিকেলে আমরা যানবো সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম সহ  সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং সোনালী ব্যাংক লোন সমূহ এর ডিটেলস । 

    বাংলাদেশ ব্যাংকের  মধ্যে সোনালী ব্যাংক অন্যতম।  সোনালী ব্যাংক জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার জায়গাঅ।সোনালী ব্যাংকে টাকা আমানত হিসেবে রাখার পাশাপাশি  প্রয়োজন অনুযায়ী লোন দিয়ে থাকে। বর্তমানে সোনালী ব্যাংক  দুই ধরনের ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। এখন আপনার সুবিধা অনুযায়ী ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।


    সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
    সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম


    সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম

    আজ আমরা সোনালী  ব্যাংকের লোন সম্পর্কে জানব।  যা আমাদের জীবন যাপন কে আরো সচ্ছল করে তুলবে। বর্তমানে জীবনধারণের জন্য অর্থ প্রয়োজন কমবেশি সবারই। তাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনারা লোন নিতে  পারবেন।

    মূলত সোনালী ব্যাংকে  লোনের দুইটি পদ্ধতি বিদ্যমান।  নিচে আমরা সে সম্পর্কে জানব।

    1. ব্যক্তিগত লোন ও
    2. পেশাজীবী বা  শিক্ষক লোন।

    ব্যক্তিগত লোন

    সোনালী ব্যাংকের লোনের মধ্যে ব্যক্তিগত লোন অন্যতম। ব্যক্তিগত লোনে আপনি বড় অঙ্কের টাকা লোন নিতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা লোন নিতে চাইলে ব্যক্তিগত লোন অন্যতম। তবে সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত লোন নেওয়ার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে। নিজের সম্পর্কে জানানো হল।

    1. সর্বনিম্ন ৬০ হাজার থেকে ৫ কোটি টাকা লোন নিতে পারবেন। এর মধ্যে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ লোন নিতে পারবেন।
    2. সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত লোন নিতে হলে অবশ্যই তাকে বাংলাদেশি হতে হবে।
    3. ঋণ গ্রহীতার অবশ্যই ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে।
    4. নারীরা লোন নিতে পারবে তবে তাদেরকে সফল উদ্যোক্তা হতে হবে।
    উপরের এই চারটি শর্ত মানলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।

    এছাড়া সোনালী ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য ঋণ গ্রহীতাকে  নির্দিষ্ট পরিমাণ  টাকা জামানত হিসেবে  জমা রেখে ঋণ গ্রহণ করতে হবে। যেমন;  পুরুষের  ক্ষেত্রে ৫  লক্ষ টাকা বা সম পরিমাণ টাকার সম্পদ জমা রাখতে হবে এবং নারীর  ক্ষেত্রে 10 লক্ষ টাকা বা সমপরিমাণ অর্থের সম্পদ বা সোনার গহনা জমা রাখতে হবে।

    সোনালী ব্যাংকের ব্যক্তিগত লোন এর মেয়াদ

    বাংলাদেশে যেসব ব্যাংক রয়েছে সেইসব ব্যাংকের মতো সোনালী ব্যাংকেও লোন পরিশোধের  সময়সীমা রয়েছে। সোনালী  ব্যাংকে ব্যক্তিগত লোন পরিশোধের মেয়াদকাল ৫  বছর এরমধ্যে ঋণগ্রহীতা স্কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।

    পেশাজীবী বা শিক্ষক লোন

    বর্তমান জীবন যাপনের জন্য কমবেশি সবারই অর্থ প্রয়োজন। চাকুরীজীবী বা শিক্ষকদের বেতন তুলনামূলক কম ফলে তাদের জীবনযাপন  ব্যাহত হয়।  তাই চাকুরীজীবী শিক্ষকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই সোনালী ব্যাংক পেশাজীবী বা শিক্ষকদের জন্য লোনের ব্যবস্থা রেখেছে। তবে তাদের কিছু শর্ত সাপেক্ষে লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। নিচে সে সম্পর্কে বলা হল।

    1. ঋণ গ্রহণকারী সর্বনিম্ন ২0000  টাকা থেকে ১লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে ।
    2. ঋণ গ্রহীতাকে ১২-৩৬ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে ।
    3. ঋণের ইন্টারেস্ট ১২/ করে আসবে।
    উপরের সবগুলো মানলে আপনি চাকুরীজীবী বা শিক্ষক লোন নিতে পারবেন

    তাছাড়া আমরা আরও বলতে পারি সোনালী ব্যাংক শুধুমাত্র এই দুইটি ননী দিয়ে থাকেন না। এছাড়া তারা সেলারি লোন ও দিয়ে থাকে। নিচে সে সম্পর্কে আপনাদের জানানো হলো। সোনালী ব্যাংক সেলারি লোন প্রদান করে থাকে। সোনালী ব্যাংক থেকে সেলারি লোন এর জন্য আপনি সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। তবে এই লোন সবাই নিতে পারবে না, তার জন্য আলাদা কারণ প্রয়োজন হয়।এই লোন পাওয়ার জন্য ঋণ গ্রহীতর কোন উদ্দেশ্য থাকতে হবে। যেমন -

    1. উদ্যোক্তা যদি কম্পিউটার প্রিন্টার এন্ড স্ক্যানার ক্রয় করতে চাই তাহলে সোনালী ব্যাংক তাকে লোন দিতে পারবে।
    2. ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সাইকেল বা মোটরসাইকেল ক্রয় করতে চাইলে।
    3. সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সবজি বাগান বা নার্সারি স্থাপন করতে চাইলে।
    4. হাঁস মুরগি পালন করা, গাভী পালন করা, গরু মোটাজাতকরণ ও মৎস্য চাষ প্রকল্প করতে চাইলে সোনালী ব্যাংক সেলারি লোন দিয়ে থাকে।
    5. এছাড়া কৃষিপণ্যের বিপণন ও প্রমুখ পরিচালনার জন্য এই লোন পাওয়া যায়।

    কোন ব্যক্তির মধ্যে উপরের যোগ্যতা বিদ্যমান থাকলে সেই ব্যক্তি এ লোন পেতে পারে। তবে সোনালী ব্যাংক এই লোন তাদেরকেই প্রদান করে যারা এই লোনের মাধ্যমে উপকারী ও সফল হতে পারবে। এছাড়া চাকুরীজীবীরাও এই লোন পেতে পারে । তাদের অবশ্যই স্থায়ী চাকুরীজীবী হতে হবে। এছাড়া যারা স্থায়ী স্বল্প বেতনভুক্ত তাদেরকেও এই লোন প্রদান করা হয়।

    সুদের হার ও কিস্তির মেয়াদকাল

    এই লোন ১২ মাস থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে গ্রাহক কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবে । এবং তাকে ১২/ হারে সুদ প্রদান করতে হবে। তবে এটা কখনও কখনও পরিবর্তন যোগ্য হতে পারে। উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন লোন সম্পর্কে যা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে জীবনকে উন্নত করেছে।
    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url